Jai Bhim 2021 | একটি অনুপ্রেরণার নাম

Jai Bhim 2021 Movie: শুরুর কথা

সিনেমা দেখা হয়না অনেকদিন। এক সময় প্রচুর সিনেমা দেখা বা, সিনেমা-পোকা হলেও ইদানিং সময় হয়ে ওঠেনা। গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে মুভি গ্রুপ এবং পেইজ গুলো তে যেভাবে জয় ভিম ২০২১ মুভি নিয়ে জয়গান হচ্ছে তা দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। বৃহস্পতিবার অফিস থেকে বাসা এসেই পিসি তে ডাউনলোড দিলাম মুভিটি।

"জয় ভীম আলো। জয় ভীম ভালোবাসা।
জয় ভীম হল আঁধার থেকে আলোতে আসার পথ।"
"জয় ভীম হল লাখো মানুষের অশ্রু।" ~মারাঠী কবি।
jai-bhim-2021-movie-review-bangla

What a comeback from SURYA!

আমার মাথায় আসলো না এইরকম একটা মুভি হলে না ছেড়ে ওটিটিতে ছাড়লো কিভাবে? আমরা ডাবল মাস্টারপিস পেলাম Soorarai Pottru এর পর Jai Bhim। ছবিটির ডিরেক্টর ছিলেন Tj Gnanavel, এবং সুরিয়া ছিলেন লিড রোল এ। আসলে আমি ওনাকে চিনিনা। কিন্তু ছবিটা তাকে চিনাতে বাধ্য করালো আমাকে। একটি ছবিতে না আছে কোন থ্রিল না আছে আহামরি কোন কাহিনি। আদিবাসী জাতিদের ওপর নিপীড়ন এবং তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের মধ্যদিয়ে শেষ হয়ে যায় ছবিটি। ট্রেইলার দেখে যে কেউ মুভির কাহিনি আন্দাজ করে নিতে পারবে।

সুরিয়া'র কথা কি বলবো!!! ওনার অভিনয় দক্ষতা মাপার মতো যোগ্যতা আমার হয় নি। একটা মানুষ শুধু চোখ দিয়ে অভিনয় করেই একটা মুভি করে ফেলতে পারে ওনাকে না দেখলে বুঝা যেত না।ইভেন প্রটিটা চরিত্রের প্রশংসা করতেই হবে। প্রতিটা চরিত্র আমার কাছে শুধু মনে হয়েছে আমি সামনা সামনি দেখছি। আদিবাসীদের ওপর নিপীড়ন আর বুক ফাটা কান্না আপনার কলিজায় আঘাত করবে। আমার কাছে ২.৩১ঘন্টার মদ্ধে ছবির কোন জায়গায় মনে হয় নি আমি একটি ছবি দেখতেছি মনে হচ্ছিল যা হওয়ার আমার সামনে হচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমা ততই উপরে উঠছে। দিনের সাথে সাথে ক্রিয়েটিভিটি শুধু বাড়ছে আর বাড়ছে। যদি কেউ না দেখেন তাহলে আপনি কি মিস করবেন তা বুঝতে পারবেন না। কারণ যারা দেখেছে একমাত্র তারাই বুঝতে পারবে এইটা কি ছিলো।

ইরুলা উপজাতি কারা?

শুরু যখন করেছি, তো চলুন হালকা করে জেনে আসি ইরুলা উপজাতিদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে। তামিল ও মালয়ালম ভাষায় 'ইরুলার' মানে 'কালো মানুষ'। নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে ইরুলা'দের । ইরুলা শব্দের উৎপত্তি 'ইরুলার' শব্দ থেকেই। মূলত গায়ের রংই তাদের আসল পরিচয়। তামিল ও মালয়ালম ভাষায় ‘ইরুলার’ মানে হল কালো মানুষ। সেখান থেকেই এই উপজাতির নাম তামিলনাড়ুতে এই জনজাতির সংখ্যা দু’লক্ষের কাছাকাছি, কেরলে প্রায় ২৫,০০০। তবে ধীরে ধীরে এই জনজাতির সংখ্যা কমছে। তার মূল কারণ তাদের দারিদ্র।

সাপের তাদের সঙ্গেই ওঠাবসা; সাপের বিষ বিক্রি করেই আয়-রোজগার, জীবিকা; দক্ষিণ ভারতের ইরুলা উপজাতিরা এখনও প্রচারের আড়ালে।

ঋতুস্রাব নিয়েও নানা সংস্কার রয়েছে ইরুলাদের।কোনও কিশোরী প্রথমবার রজঃস্বলা হলে তাকে সাত দিনের জন্য বাড়ির বাইরে একটি ছাউনি বানিয়ে রাখা হয়।সেখানে কিশোরীর যে কোনও একজন বন্ধু ও তার মায়েরই প্রবেশের অনুমতি থাকে।পরিবারের পুরুষ সদস্যেরা মেয়েটির মুখ দেখামানেই সেটা পাপ।সাতদিন পরে নদীতে স্নান করিয়ে, মেয়েটির সমস্ত জামাকাপড় পুড়িয়ে দেওয়া হয়।এই প্রথাকে ইরুলা সমাজে বলাহয় ,‘কায়দাকাতাছিরি’।

ইরুলারা এখনও ভরসা রেখেছে তাদের দেবী কান্নাইমার উপরে।একদিন এই দারিদ্র ঘুচবে,তারাও সমাজে যথাযোগ্য সম্মান পাবে, এমনটাই বিশ্বাস ইরুলাদের।
irula-tribe-ইরুলা-উপজাতি

ইরুলা সুরক্ষা সমিতি

১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় 'ইরুলা সুরক্ষা সমিতি' বা, Palangudi Irular Pathukappu Sangam। এই সমিতি ইরুলা'দের হাজারের বেশি মামলা লড়েছে। ইরুলা'রা সংখ্যালঘু এবং জমি অনুদান চাইতে অক্ষম......
আর তারা আজও মিথ্যা মামলায় জেল খাটে। MISA, TADA এবং POTA আইনের বিরোধীতা করে চন্দ্রু দাঁড়িয়েছিলেন মত প্রকাশে স্বাধীনতার পক্ষে। মানবাধিকার বিষয়ক মামলায় উনি এক টাকাও পারিশ্রমিক দাবি করেননি। উনি ছয় বছরে ৯৬হাজারেরও বেশি ঐতিহাসিক মামলা লড়েন।

সত্য ঘটনার উপর নির্মিত জয় ভিম ২০২১

মুভিটি ১৯৯৩ সালে ঘটে যাওয়া এক সত্য ঘটনার উপর নির্মান করেছেন ডিরেক্টর T.j Gnanavel. কোর্ট-ড্রামা,ক্রাইম থ্রিলার মুভি। ❤️
Spoiler alert‼️
প্লট - চেন্নাইয়ের জঙ্গলের পাশে বাস করা কয়েকটি আদিবাসী, সাপুড়ে পরিবার থাকে যারা সাপ ধরে, বিষ ছাড়িয়ে কিছু টাকা আয় করে চলে৷ পুলিশরা তাদের বিনা অপরাধে ধরে মামলা চাপিয়ে জেলে নির্মম অত্যাচার করে কারণ তাদের ভোটার লিস্টে নাম নেই। জেলে মরে গেলেও কেউ কিছু করবেনা। অন্যদিকে একজন নির্ভীক, সৎ আইনজীবি যিনি মানুষের মানবাধিকার নিয়ে খুব সেন্সিটিভ। মুভিটা মূলত আদিবাসীদের ন্যায়-বিচার নিয়ে। সমাজে যে-রকম মানুষরূপী পশু আছে, ঠিক তেমনি আছে পরোপকার মানুষও।যিনি কিনা সবসময় লড়েন মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত সকল নিরীহ মানুষের জন্য।

মুভিতে লীড রোল এ ছিলেন চান্দ্রু (সুরিয়া শিভকুমার) অ্যাডভোকেট চরিত্রে। সুরিয়া একদম তার সেরাটা দিয়েছেন। কি অসাধারণ অভিনয়! মনে হচ্ছিল চোখের সামনে বাস্তব কিছুর জন্য তিনি একাই লড়ছেন!soorarai pottu পর ব্যাক-টু-ব্যাক সুরিয়ার টপনচ সিনেমা। আবারো একবার ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডের জন্য নিঃসন্দেহে আরো একধাপ এগিয়ে থাকবে সুরিয়া।💥

প্রত্যেকটা আধিবাসীর অভিনয়ও একদম নিখুঁত ছিলো।আধিবাসীর স্ত্রীর চরিত্রে লিজোমন যার কথা না বললেই নয় কি অসাধারণ অভিনয় টা না করেছেন!❤️মুভিতে এমন এমন অনেক সিন আছে যেগুলো দেখে আপনার চোখে পানি চলে আসতে বাধ্য। মুভির মেইন শক্তি ছিলো ফ্রেশ একটা কন্টেন্ট যেটা ডিরেক্টর T.j Gnanavel জায়গায় জায়গায় থ্রিল এবং সাসপেন্সের মাধ্যমে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সিনেমাটোগ্রাফি ও অসাধারণ ছিলো। মেকিং এবং লোকেশান গুলোও ছিলো একদম টপনচ!

🔥ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকও ভালো ছিলো,তবে ইমোশনাল সিনে মিউজিক টা আরো একটু ডিপ হলে ভালো হতো। মুভির রানটাইম একটু বেশি হলেও বোরিং হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ মেকিং টা এতো সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে কখন যে আড়াই ঘন্টা শেষ হয়ে যাবে কোনো খবর থাকবে না।💥
নিঃসন্দেহে আমার দেখা এইবছরের সেরা মুভি এটি #JaiBhim 💥
হিন্দি ডাবিং এবং বাংলা সাবটাইটেল দু-টাই আছে।যারা দেখেন নাই দেখে ফেলুন।মিস দিয়েন না।❤️

সুরিয়া'র ক্যারিয়ারে আরেকটা মাস্টারপিস মুভি এড হলো..!

নায়ক নায়িকার গদগদ রোমাঞ্চকর মূহুর্ত ছাড়াও একটা মুভি এত ভালো হতে পারে, গ্যারান্টি দিতে পারি গত ৪/৫ বছরে এতো ভালো মুভি কেউ দেখেন নি 🙂 আর Suriya এর অভিনয় ❤️❤️ হিন্দি ডাবিং টাও ভালো লেগেছে আমার, তবে সাবটাইটেল দিয়ে দেখলে আরো বেশি মজা পাবেন 🙂।

ঝড় তুলছে Jai Bhim 2021 Movie

বর্তমান সময়ে যেই সিনেমাটি এখন ঝড় তুলছে সেটি হলো Jai Bhim. আর আজকে সেটি নিয়েই কিছু আলোচনা করতে যাচ্ছি... দয়া করে পুরো পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো। অনেকদিন পর কোনো সিনেমা দেখার পর মনের অজান্তেই মুখ ফসকে একটা কথা বের হয়ে গেলো,সেটি হলো:

What A Film! What A Script! What A Story And What A Actor Suriya🥰

★সবার উপরে মানুষ সত্য,তাহার উপরে নাই
কিন্তু তার প্রতিফলন কতটুকই বা হচ্ছে! মানুষের মাঝেই জাতি,গোত্র, শ্রেণী বৈষম্য যে কতটা ভয়াবহ হতে সেটা বোধহয় অনেকের কল্পনারও বাইরে।
Movie : Jai Bhim (2021)
Language : Tamil (Hindi Dubbed)
প্লটঃ- উপরমহল থেকে ঘোষণা আসে যেসব পুলিশ অফিসার দের পেন্ডিংয়ে কোন কেস নেই তাদের প্রমোশন দেওয়া হবে।আর তার ঠিক কিছুদিনের মাঝেই হুট করে সবার পেন্ডিং কেস সলভড হয়ে যেতে থাকে। সবাই রাতারাতি কেসের অপরাধী দের গ্রেফতার করে কেস ক্লোজড করে দিচ্ছে।
পুরোটাই যেন একটা জাদু আর এই জাদু সম্ভব হচ্ছে কিছু নিম্নশ্রেণীর মানুষের জন্য, যাদের নেই কোন পরিচয় বা সাহায্য করার লোক.. ঠিক এরকমই এক আদিবাসী দলে থাকতো রাজাকান্নু। পেশায় একজন সাপুড়ে।নিজের স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভালোই কাটছিলো দিন কিন্তু হঠাৎ গ্রামপ্রধান এর বাড়িতে চুরি হয় আর সেই চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয় রাজাকান্নু কে।পুলিশ রাজাকান্নু কে না পেয়ে তার ভাই, বোন,স্ত্রী কে নিয়ে অত্যাচার শুরু করে থানায়
ব্যাস এখান থেকেই মুল ঘটনা শুরু...
ক্ষমতার দাপটে প্রকৃত ন্যায়বিচার কি পাবে আদিবাসী পরিবার নাকি অন্য দের মত তারাও একসময় হারিয়ে যাবে তথাকথিত সিস্টেমের বেড়াজালে সেসব নিয়েই এগিয়ে চলে মুভির প্লট….
নিজস্ব মতামত দেওয়ার আগে বলে দেই,কোথা থেকে দেখতে পারবেন? Google এ গিয়ে Just Type করুন Movieszonebd তারপর যেই ওয়েবসাইটটি সামনে আসবে সেটাতে ক্লিক করুন। আর নয়তো ইনবক্স করতে পারেন।

★আচ্ছা এখন প্রথমেই বলতে হয় কনসেপ্টের কথা।খুব নতুন কিছু না হলেও পরিচালক এমন একটা কনসেপ্ট তুলে ধরেছেন পর্দায় যেটা নিয়ে সবসময়ই আলোচনা হওয়া উচিত।মানুষে মানুষে ভেদাভেদ আর তার রোষানলে সবসময় ক্ষতির সম্মুখীন হয় অসহায় লোকজন।পরিচালক শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই বৈষম্যের ভয়াবহতা আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন কোন রকম বাড়তি কিছু যোগ করা ছাড়াই। একটা অসহায় পরিবার যাদের ভোট দেওয়ার অধিকার টুকু পর্যন্ত নেই তারা যখন সিস্টেম এর বিরুদ্ধে লড়তে যায় সেটা কতটা বেদনাদায়ক বা ভয়াবহ হতে পারে তা প্রত্যেকটা সীনে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক আর সাথে সবার অভিনয় সেটা কে করেছে আরও বাস্তবিক।কোর্টরুম ড্রামা সেটাকে আরো উপভোগ্য করে তুলেছে।রানটাইম কিছুটা বেশী হলেও স্ক্রীন প্লে বেশ ভালো ছিলো তাই কোথাও বোরিং লাগে নি।
সুরিয়া,প্রকাশ রাজ,রাও রমেশ এর মত অভিনেতা’রা থাকতেও আদিবাসী চরিত্রে যারা ছিলো তারা আলাদা করে নজর কেড়েছে।আর সুরিয়া’র ক্যারিয়ারের আরো একটা দারুণ পারফরম্যান্স ছিলো জয় ভীমে..
সবমিলিয়ে তামিল ইন্ডাস্ট্রি থেকে আরও একটা চমৎকার মুভি বলা যায় জয় ভীম কে। একটা সেন্সেটিভ ইস্যুকে পারফেক্ট স্ক্রীনপ্লে আর ইমোশন দিয়ে খুবই দারুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। মাস্টওয়াচ একটা সিনেমা। এখনো না দেখে থাকলে এক্ষুনি দেখে নিন।

Sairat, আর্টিকেল ১৫, আসুরান, কারনান, জয় ভিম-- একের পর এক ভারতের প্রতি রাজ্যেই বর্ণবাদ বিরোধী চরম লেভেলের নানা জর্নারের মুভি হচ্ছে। নোংরা প্রথাটা যদি শেষ হয় এবার

Hats Of Jai Bhim 2021 Movie Writer

সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতে পুরাই আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এই মুভিটি🔥
"Jai Bhim" সুরিয়াকে বাছিয়ে রাখবে হাজার বছর❤️
১৯৯৩ সালের একটি সত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই মুভি একথায় মাস্টারপিস 💯
মুভিটি নিয়ে বলতে গেলে নতুন একটি মুভি লেখা হয়ে যাবে, এক সেকেন্ডের জন্যও স্ক্রিন থেকে চোখ সরানো অনেক কঠিন। থ্রিলার মুভি লাভাররদের জন্য মাস্ট ওয়াচ মুভি👍 লোভের কাছে মনুষ্যত্ব বিক্রির এ-যুগে গল্পটা ভালো একটি সোশাল ম্যসেজ দিতেও সক্ষম।

মুভিঃ জয় ভীম( Jai Bhim-2021)

জীবনে অনেক মুভি নাটক দেখেছেন এইবার এইটা দেখুন একটু.পুলিশ ও সরকার বিরোধী এই ছবিটি. পুলিশের কাছে কত অসহায় মানুষ এই ছবি দেখলে বুঝবেন. জয় ভীম ছবিটি তামিল ভাষার ক্রাইম ড্রামা ফিল্ম। ছবিটি লিডে আছেন সুরিয়া, প্রকাশ রাজ, কে. মানিকানান্দ, রাজিসা ভিজায়ান, লিজোমূল জোসে সহ অনেকেই। ছবিটিতে করাপ্টটেড পুলিশের এমন কুচ্ছিৎ চিত্রর সাথে সাথে সমাজের নিচু জাতের মানুষের সাথে যা ঘটে সেটা চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বেশি কিছু বললে স্পোয়লার হয়ে যাবে। আপনি ভিসরানি দেখেছেন? আসুরান বা কার্নান? আপনি যদি ভিসরানি, আসুরান বা কার্নান পছন্দ করে থাকেন তাহলে কোন দিধা ছাড়াই ছবিটি দেখতে বসে যান। ছবিটি এতটাই সুন্দর তাই বলবো ছবিটি মাত্র ২ ঘন্টা ৩১ মিনিটের একটি বড় মাস্টার পিছ। অভিনয়ে সবাই তাদের বেস্ট দিয়েছেন। যদি কেউ একটি দৃশ্য ছবিতে করে থাকেন তবু বলবো সে তার সর্বোচ্চ দিয়েছে। সুরিয়ার অভিনেতা চমৎকার এটা বলার অপেক্ষা রাখে না কিন্তু তার এই বর্তমান লুক বেশ সুন্দর হয়েছে। তবে ছবিতে আলাদা করে নজর কেড়েছেন লিজোমূল জোসে।
এখনো আমার এই হ-য-ব-র-ল রিভিও দেখতেছেন? সময় নষ্ট না করে ছবিটি দেখতে বসে যান। বাংলা সাবের সাথে হিন্দি ডাবও পেয়ে যাবেন।

নব্বইয়ের দশকে তামিলনাড়ুতে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনাগুলির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, চলচ্চিত্রটি ইরুলার সম্প্রদায়ের দরিদ্র, প্রতিরক্ষাহীন লোকেদের সাহায্য করতে আসা একজন ন্যায়পরায়ণ আইনজীবীর চলমান গল্প বলে যাদের অমানবিক পুলিশের শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর উপায় নেই। যে শক্তি তাদের অসহায়ত্বকে কাজে লাগাতে চায় এবং দায়মুক্তির সাথে তাদের উপর নৃশংসতার পর নৃশংসতা করে।

জয় ভীম ২০২১ঃ একটি চলচ্চিত্রের চেয়েও বেশি কিছু; একটি অনুপ্রেরণা।

Movie : Jai bhim মুভিটি সত্যি অসাধারণ লেগেছে সাথে হিন্দি ভাষা আসায় মুভি টি দেখতে বুঝতে প্রবলেম হয় নি । IMDB রেটিং ৯.৭ অনেক দিন পর একটা ভালো মুভি দেখার ভাগ্য হলো । জয় ভীম একজন আইনজীবীর গল্প যিনি আদিবাসীদের জমির অধিকারের জন্য লড়াই করেন। মুভিটির রিভিউ দিতে চাই না সবাই কে দেখার জন্য বললাম Suriya’s Back To Back Superhit Film চমৎকার আশ্চর্যজনক মুভি। জাতপাতের ভিত্তিতে সামাজিক অসাম্যের বাস্তবসম্মত চিত্রায়নের জন্য পরিচালককে অভিনন্দন এবং পুলিশি বর্বরতা যা এখনও বিদ্যমান। এমন একটি দুর্দান্ত, ব্যবহারিক বিষয়বস্তু, বাস্তবসম্মত স্ক্রিপ্ট বাছাই এবং তৈরি করার জন্য আবারও সুরিয়াকে সাধুবাদ।

এতো সুন্দর একটা মুভি আর এতো সুন্দর অভিনয় পুরো পুরি মনোমুগ্ধকর,,,,,,সুরিয়ার প্রায় সব মুভিই দেখেছি সব গুলোই ভালো লেগেছে কিন্তু এইটা ছিলো অন্য লেভেলের। এক মিনিটের জন্য ও স্ক্রিন থেকে চোখ সরাই নি,,,একেবারে নিখুঁত অভিনয় যাকে বলে surrai potru অনেকের কাছে বেস্ট তবে আমার কাছে সুরিয়ার ক্যারিয়ারের বেস্ট মুভি আমার কাছে এইটাই মনে হয়েছে,,, আর তাছাড়া মুভি টা সত্য ঘটনার উপর নির্মিত তাই আর ও বেশি ভালো লেগেছে।যারা দেখেন নি তারা দেখতে পারেন ভালো লাগবে আশা করি।

৩ টা প্লট এ মুভি টা কে সাজানো হয়েছে

চলুন দেখে নিই সেই তিনটা প্লট

  • (১) উপজাতিদের জীবন-সংসার
  • (২)ক্রাইম
  • (৩)আইন ও কোর্ট এর দৃশ্য।

🔥একজন আদিবাসী মহিলা তার স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার রহস্য উদঘাটনের জন্য আদালতে লড়াই করছেন, যাকে পুলিশ একটি মিথ্যা মামলায় তুলে নিয়েছিল। এই মহিলার স্বামীর অপরাধ কি, তার স্বামীর সাথে শেষমেশ কি হয়েছে এবং ন্যায় বিচার পেতে এই মহিলার পরিবারকে কতটুকু কষ্টের মধ্যে যেতে হয়েছে সেটা নিয়েই পুরো মুভি।
🔥অনেক রিয়েলস্টিক ছিলো। অনেক।। পুলিশদের নির্মমতা কে অনেক ভালো ভাবে শ্যুট করা হয়েছে।
🔥মেকিং এ কোনো সমস্যা চোখে পরবেই না।। জাস্ট ১ম গান টা বাদে বাকি গান অপ্রয়োজনীয়।
ক্ষমতায় থাকা লোকেরা নিরিহ মানুষদের উপর কতটা অত্যাচার জুলুম করে সেটাই দেখানো হয়েছে এই মুভিতে। সবশেষে প্রায় ১৬৪ মিনিটের এই মুভিটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে।যাদের দেখা হয় নি দেখে নিতে পারেন।

কোনো ফাইট সিন নাই,এক্সট্রা ডায়ালগ বাজি নাই,ওভার এক্টিং নাই পুরো টিমের ছোট থেকে বড় একদম ন্যাচারাল এক্টিং করসে,স্পেশালি ট্রাইবাল দের অভিনয়,জীবনযাপন, পুলিশ স্টেশনের সিনগুলি চোখে লেগে আছে একদম❣️🔥

সুখী হওয়ার জন্য শুধুমাত্র ইচ্ছা থাকা

‘জয় ভীম’ সিনেমার অভিনেতা মণিকন্দন, ‘রাজাকান্নু’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি বলেন - কাজ করার সময় তিনি সবচেয়ে বড় যে শিক্ষাটি পেয়েছেন তা হল, সুখী হওয়ার জন্য শুধুমাত্র ইচ্ছা থাকা ছাড়া অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই।

মণিকন্দন, যিনি চলচ্চিত্রে একজন ইরুলার উপজাতির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ৪০ দিনের জন্য তিনি ইরুলারদের সাথে বসবাস করেন। তাঁদের আচার-ব্যবহার এবং জীবনধারা শেখার জন্য ইরুলা উপজাতিদের গ্রামে ছিলেন তিনি।

তাঁর কথায় - “আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে এই লোকেরা কতটা আত্মনির্ভরশীল। তাদের সাথে থাকতে থাকতে আমি বেশ কিছু জিনিস শিখেছি। তাদের জীবনধারা আমার উপর অনেক প্রভাব ফেলেছে। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে তাদের সুখী হওয়ার জন্য তেমন কিছুর প্রয়োজন নেই। কেউ যদি খুশি হতে চায়, সে চাইলেই খুশি হতে পারে। তাদের প্রায় কিছুই ছিল না, কিন্তু তারা অত্যন্ত খুশি ছিল।” এই চরিত্রে অভিনয় করা যে খুব একটা সহজ ছিল না , সে কথাও স্বীকার করছেন তিনি। মেকআপে প্রায় ২ থেকে আড়াই ঘন্টা সময় লাগতো।

প্রসঙ্গত, তামিল এই সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তামিল সুপারস্টার সূর্য। অভিনয় আর জনপ্রিয় অভিনেতা প্রকাশ রাজও। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন এই ছবির প্রশংসা করে বিবৃতি জারি করেছেন। আইনজীবী চন্দ্রুর জীবনের অনুপ্রেরণায় তৈরি হয়েছে এই ছবি। যেখানে একজন আদিবাসী মহিলার ন্যায়ের জন্য লড়াই করেন তিনি।

জয় ভিম ২০২১ মুভির সমালোচনাঃ

এই মুভি নিয়ে হালকা একটু সমালোচনাও আছে। এই মুভির একটি দৃশ্যে অভিনেতা প্রকাশ রাজ একজন কে চড় মারেন হিন্দি বলার কারণে। হিন্দি না বলে তামিল বলার জন্য থাপ্পড় মারেন তিনি। আর এই নিয়ে স্যোসাল মিড়িয়াতে কিছুড়া হৈচৈ হয়। এটা হিন্দি ভাষাভাষী দের মনে আঘাত লাগে। এই দৃশ্য টি মুভি থেকে কেটে দেয়ার জোর দাবি জানানো হয়। এছাড়া আর তেমন কোন সমালোচনা চোখে পড়েনা।

শেষ কথাঃ জয় ভিম ২০২১

পরিশেষে একটি কথা আর সেটা হলো 'সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই'। সময় পেলে অবশ্যই দেখে নিবেন এই মাস্টারপিস 'জয় ভিম ২০২১' মুভিটি। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি পড়ার জন্য।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post