ফ্রিল্যান্সিং মানে কি? ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশ । ফ্রিল্যান্সিং সাইট

বন্ধুরা! ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আরো একটি পর্বে স্বাগতম জানাচ্ছি। এর আগে আমরা কথা বলেছিলাম ' ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন? ' নিয়ে।

তো টেক বাংলা ইনফো-এর আজকের পর্বে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আরো কিছু টপিক কাভার করার চেষ্টা করবো। যারা অনলাইনে নিজেদের ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে চাচ্ছেন কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কোন ব্যাসিক ধারণা ভালভাবে পাচ্ছেন না তাদের জন্য আজকের এই আয়োজন। আজকে আমরা যেই বিষয় গুলোর উপর জোর দিবো সেগুলো এক ঝলক দেখে নিইঃ

  • ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশ
  • বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি?
  • বর্তমানে বাংলাদেশে কতজন ফ্রিল্যান্সার আছে?
  • ফ্রিল্যান্সিং কেন করব?
  • ফ্রিল্যান্সিং সাইট
  • ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট
  • কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব?
  • ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়?

তো চলুন একে একে ফ্রিল্যান্সিং এর টপিক গুলো নিয়ে জেনে আসি।

ফ্রিল্যান্সিং মানে কি? What Is Freelancing?

শুরুতেই আপনাকে বলব What Is Freelancing? , আসলে ফ্রিল্যান্সিং মানে কি?

ফ্রিল্যান্সিং মূলত জব এর মতোই। আমরা যদি কোন কোম্পানিতে জব করতে চাই তাহলে আমরা কি করি? ওই কোম্পানি সার্কুলার দিলে তখন আর জবের জন্য এপ্লাই করি। সিভি সাবমিট করি। জব হয়ে গেলে সে কোম্পানিতে নির্দিষ্ট একটি দায়িত্ব পালন করতে থাকি। সে কাজের বিনিময়ে মাসিক স্যালারি জেনারেট হয়। ফ্রিল্যান্সিং হলো এ ধরনের একটি জব। অনলাইনে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন মানুষদেরকে হায়ার করে থাকে। সে কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন কাজ করে দেয়ার জন্য।

ফ্রিল্যান্সিং-মানে-কি-What-Is-Freelancing-ফ্রিল্যান্সিং-বলতে-কি-বুঝায়

যেমন ধরেন একটা নতুন কোম্পানি লঞ্চ হলে তাদের নতুন লোগো ডিজাইন দরকার। তারা তখন গ্রাফিক ডিজাইনারদের কে হায়ার করিয়ে নেয়। আবার একটা কোম্পানির ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন। একজন ওয়েব ডেভলপার কে হায়ার করে অনলাইনে সে কোম্পানি তাদের জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করে নেয়। যেমন আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার। আমি বিভিন্ন কোম্পানির জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করে দেই। এটার মাধ্যমে আমি ফ্রিল্যান্সিং করি।

অনলাইনে আপনার যে দক্ষতা বা স্কিল আছে যে বিষয়টা আপনি জানেন অথবা আপনি ভবিষ্যতে শিখে নিবেন সেই দক্ষতা দ্বারা আপনি বিভিন্ন কোম্পানিতে সহযোগিতা করবেন যার বিনিময়ে সে কোম্পানি আপনাকে পেমেন্ট করবে।

তবে নরমালি আমরা যে জব গুলো দেখি সেগুলোর সাথে ফ্রিল্যান্সিং জব এর একটা পার্থক্য আছে। আমরা যদি আমাদের বাংলাদেশে কোন কোম্পানিতে জব করি তাহলে প্রতিদিন নির্দিষ্ট টাইম এর অফিস করি। আর মাস শেষে আমাদের কাছে আলাদা স্যালারি জেনারেট হয়।

কিন্তু ফ্রিল্যান্সাররা অনলাইনে ফিক্সট কোন কোম্পানির জন্য ফিক্স-জব করে না। একটা নির্দিষ্ট টাইম অনুযায়ী তারা পুরো মাস ধরে কাজ করে না তারা কন্ট্রাক বেসিস এ কাজ করে এবং একাধিক কোম্পানির সাথে কাজ করে যার জন্য তারা প্রতি মাসে একাধিকবার পেমেন্ট পেয়ে থাকে। যেমন ধরেন একজন ওয়েব ডেভেলপার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে। সে এক মাসে দশটা কোম্পানির জন্য দশটা ওয়েবসাইট তৈরী করলো। তাহলে সে দশবার কিন্তু পেমেন্ট পাবে।

ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝায়?

আরো সহজ ভাবে উদাহরণ দিচ্ছি। ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝায়? মনে করুন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার লোগো ডিজাইন করতে পারে। সেও যদি এক মাসে দশটা কোম্পানির জন্য দশটা লোগো ডিজাইন করে দেয় তাহলে সে দশবার আর্নিং করতে পারবে। কিন্তু সাধারণভাবে আমরা যদি কোন কোম্পানিতে ফিক্স জব করি তাহলে পুরো মাসে আমরা মাত্র একবার আর্নিং করতে পারি। যার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের আয়-রোজগার অন্যান্য জব হোল্ডার দের চাইতে অনেকাংশে বেশি হয়ে থাকে। আর পেমেন্ট গুলো যেহেতু ডলারে হয় তাই আর্নিং এর পরিমাণ কিছুটা বেশি হয়।

আপনি যদি অলরেডি কোন কাজ করে থাকেন যেমন আমি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারি, ই-কমার্স স্টোর ডিজাইন করতে পারি। আমি ফ্রিল্যান্সিং করে বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে পারি। আপনার কোম্পানীর জন্য একটা ওয়েবসাইট লাগবে। আপনি আমাকে হায়ার করে নিতে পারেন। এই যে অনলাইনে আপনি আমাকে দিয়ে আপনার কোম্পানীর জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করিয়ে নিচ্ছেন এইটাই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং

  • আপনি কি ফ্রিল্যান্সার হতে চান?
  • আপনার মধ্যে কি কোন স্কিল আছে ?

যদি না থাকে তাহলে যে কোন একটি বিষয়ে আপনি নিজেকে দক্ষ করে নিতে পারলেই সেই স্কিল দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। যেমনঃ আপনি যদি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড পারেন, মাইক্রোসফট এক্সেল পারেন এগুলো দিয়েও আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। যে কোন কাজ করা যায় ফ্রিল্যান্সিং এ।

ফ্রিল্যান্সাররা মূলত কন্ট্রাক্টর বেসিস এ কাজ করে থাকে। তারা ফিক্স জব এ কাজ করে না। একটা স্বাধীনতা আছে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে। তাই এই পেশার আরেক নাম হলো মুক্তপেশা। তারা চাইলেই মাসে 10 জন ক্লায়েন্টের কাজ করলো আবার চাইলে 20 জনের জন্য কাজ করলো। আবার দেখা গেলো কারো জন্যই কাজ করল না! একটা স্বাধীনতা আছে এই পেশায়।

ফ্রিল্যান্সিং আবার কিছুটা ইনসিকিউরিটি আছে। যদি আপনার কাছে কোন ক্লায়েন্ট না থাকে, আপনি যদি কোনো ক্লায়েন্ট না পান তাহলে আপনার ইনকাম না হওয়ার চান্স আছে। কিন্তু আপনি যদি কোন বিষয় খুব ভাল ভাবে স্কিল ডেভেলপ করে নিতে পারেন তাহলে বেকার বসে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে যে কোন একটি বিষয়ে আপনাকে পারদর্শী হয়ে নিতে হবে। এরপর আপনি যেকোন মার্কেটপ্লেসের জয়েন করার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি কে সহযোগিতা করার মাধ্যমে আপনি আপনার ক্যারিয়ার ডেভলপ করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশ

ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের তরুন-তরুনীদের ভিড় দিন দিন বাড়ছে। পড়ালেখা শেষ করে অনেকেই চাকরি পাচ্ছেন না। আবার অনেকেই পড়ালেখার পাশাপাশি ইনকামের আশায় আগ্রহী হচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিং এ। কেউ কেউ আবার চাকরির পাশাপাশি একটু বাড়তি ইনকামের আশায় ঝুঁকছেন ফ্রিল্যান্সিং পেশা'র দিকে।

ফ্রিল্যান্সিং-বাংলাদেশ-বাংলাদেশে-ফ্রিল্যান্সিং-এর-ভবিষ্যৎ
বর্তমানে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশেও ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশার নাম। সারা এশিয়া মহাদেশে পাশের ভারত এর পর পরই রয়েছে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার দের স্থান। বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের অনেক সুনাম রয়েছে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে।

জনপ্রিয় সোসাল মিডিয়া গুলোতে আপনি যদি 'ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশ' লিখে খোঁজ করেন তাহলে অনেক গ্রুপ ও পেইজ এবং কমিউনিটি খুঁজে পাবেন। অনলাইন ও ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার ক্যারিয়ার পাকাপোক্ত করতে সেগুলোতে যুক্ত হোন।

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি?

ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভবিষ্যৎ কী? , ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কেমন?, বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি? সহজ কথায় বলতে গেলে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ খুবই ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল ও সম্ভবনাময়

জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে বর্তমান বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং পেশা তৃতীয় অবস্থানে আছে। সেদিক দিয়ে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। দিন দিন এই পেশার প্রতি নতুন দের পাশাপাশি প্রবীণ অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। অন্যান্য চাকরির বিশেষ করে সরকারি চাকরি তে এপ্লাই করতে বয়স অনেক বিরাট একটি বাঁধা। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং পেশায় বয়সের কোন বাঁধা নেই। যে কোন বয়সের যে কেউই স্কিল অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে।

সুতরাং বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ খুবই সম্ভবনাময়। আপনার হাতে সময় থাকলে নেমে পড়ুন ফ্রিল্যান্সিং স্কিল ডেভেলপমেন্ট এ। নিজেকে একজন বাংলাদেশী দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলুন ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে।

বর্তমানে বাংলাদেশে কতজন ফ্রিল্যান্সার আছে?

ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাংলাদেশে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাই বাংলাদেশে ঠিক কতজন ফ্রিল্যান্সার আছে তা হুবহু বলা কঠিন। ২০২১ সালের হিসাব মতে বাংলাদেশে বর্তমানে ৬৫০০০০ ফ্রিল্যান্সার আছে । তাহলে বলা চলে বর্তমানে বাংলাদেশে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার বা, ৭ লাখের মত ফ্রিল্যান্সার আছে

ফ্রিল্যান্সিং কেন করব?

যারা নতুন তাদের সবার মনে একটা সাধারণ প্রশ্ন থাকতে পারে। আর সেটা হল 'ফ্রিল্যান্সিং কেন করব?' আসলেই তো ! কেন করবো ফ্রিল্যান্সিং?

  • একজন স্টুডেন্ট হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কেন করব?
  • একজন চাকুরীজীবী হয়েও ফ্রিল্যান্সিং কেন করব?

আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিজের খরচ নিজে চালাতে এবং বাবা-মা কে অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিতে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করুন ফ্রিল্যান্সিং এর উপর।

আপনি যদি একজন চাকুরীজীবী হয়েও থাকেন তাহলে একটু বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে এবং পরিবারে স্বচ্চলতা আনতে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করুন ফ্রিল্যান্সিং এর উপর।

বর্তমানে একটি সৃজনশীল পেশার নাম ফ্রিল্যান্সিং পেশা। কোন এক সময় ফ্রিল্যান্সিং পেশা ও ফ্রিল্যান্সারদের কোন পরিচিতি না থাকলেও বর্তমানে বাংলাদেশে এই পেশার বেশ কদর রয়েছে। দিন দিন এই পেশার কদর বাড়ছে। শুধু তাই না! বাংলাদেশ সরকার ফ্রিল্যান্সারদের পেশার স্বীকৃতি স্বরুপ সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড দিচ্ছে।

আপনি যদি একজন পেশাদার বা, প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে Freelancers Bangladesh এ গিয়ে আপনার পেশার স্বীকৃতি বুঝে নিন।

এখন আশাকরি আপনি ফ্রিল্যান্সিং কেন করব? এর উত্তর পেয়ে গেছেন।

ফ্রিল্যান্সিং সাইট

ফ্রিল্যান্সিং সাইট অনেক গুলো আছে। তবে নতুনদের জন্য সহজে ও দ্রুত সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হবার জন্য ফাইভার ফ্রিল্যান্সিং সাইট কেই আমি সাজেস্ট করবো। কারণ এখানে মাত্র ৫ ডলার দিয়ে ইনকাম শুরু করার মাধ্যমে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা সম্ভব।

তবুও এখানে আমি ফ্রিল্যান্সিং সাইট অর্থাৎ জনপ্রিয় কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের নাম দিলাম লিংক সহ।

top-freelancing-sites-ফ্রিল্যান্সিং-সাইট

জনপ্রিয় ও সেরা কিছু ফ্রিল্যান্সিং সাইট এর তালিকাঃ

এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ফ্রিল্যান্সিং সাইট আছে যেগুলো তে আপনি ফ্রিতে একাউন্ট খোলার মাধ্যমে আপনার স্কিল অনুযায়ী জবে এপ্লাই করে কাজ পেতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে দিন দিন ফ্রিল্যান্সারদের ভিড় বাড়ছে। শুধু ফ্রিল্যান্সার নয়, যারা কাজ দিবে অর্থাৎ বায়ার বা, ক্লায়েন্ট দেরও ভিড় বাড়ছে।

ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট

যেকোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক। ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলা ছাড়া অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কাজ করা সম্ভব না।

ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট বা, ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইল যাতে ১০০% হয় সে জন্য যা যা তথ্য দরকার সব দিয়েই একাউন্ট খুলতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট এ চেষ্টা করবেন একচুয়াল ইনফর্মেশন দিতে। না হলে পরে যে কোন সময় আপনার ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট ভেরিফাই করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে। তখন NID কার্ডের ইনফর্মেশন এর সাথে আপনার একাউন্ট এর ইনফর্মেশন না মিললে আপনার ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট ভেরিফাই হবেনা। একাউন্ট ফিরে নাও পেতে পারেন।

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব?

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব? ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলার জন্য আপনার একটি ইমেইল এর দরকার হবে। এর পাশাপাশি মোবাইল নাম্বারও লাগবে।

ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে নিজের আসল নাম ব্যবহার করবেন। এটা খুবই জরুরী। ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইল পিকচার এ আপনার নিজের একটা স্মার্ট ও হাসিখুশি ছবি দিবেন।

ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলার সময় চেষ্টা করবেন আপনার NID কার্ডে যেই নাম আছে সেই নাম ব্যবহার করতে।

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়?

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়? ফ্রিল্যান্সিং এ সাধারণত ডলার এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইউরো তে আপনাকে লেনদেন করতে হবে। এখন এই ডলার বা ইউরো থেকে কিভাবে টাকা হিসেবে পাবেন? ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা তুলতে হলে আপনাকে আপনার ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট এর সাথে পেমেন্ট মেথড এড করে নিতে হবে। একেক মার্কেটপ্লেসের পেমেন্ট মেথড একেক ধরনের। যেমন কোথাও পে-পাল, কোথাও পেওনিয়ার ইত্যাদি।

সোসাল মিডিয়া গ্রুপ ও পেইজে আপনি 'ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়?' লিখে পোস্ট করলে সেখানে যারা এক্সপার্ট আছেন, সিনিয়র ফ্রিল্যান্সার ভাই ব্রাদার আছেন তারা অবশ্যই আপনাকে পথ বাতলে দিবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা তুলতে হলে আপনার পেমেন্ট মেথড থেকে ডলার ব্যাংক ট্রান্সফার দেয়ার মাধ্যমে ব্যাংক থেকে সরাসরি টাকা তুলতে পারবেন।

আজ এখানেই ইতি টানছি। কথা হবে নতুন কোন টপিকে। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনার কোন কৌতুহল, কোন কিছু জানার ইচ্ছা থাকলে কমেন্ট এ জানাতে ভুলবেন না। আজকের এই ফ্রিল্যান্সিং মানে কি? ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশ । ফ্রিল্যান্সিং সাইট ও একাউন্ট থেকে ভালো কিছু গাইডলাইন পেয়েছেন আশাকরি। আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সুন্দর ও সাফল্যময় হোক! এই কামনায়...।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post